অনিয়ম দূর্নীতি ও জনবল সংকটে ভেঙ্গে পড়েছে মেহেরপুরের বিআরটিএ কার্যক্রম

কর্তৃক farukgangni

ফারুক আহমেদ(গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) :

জনবল সংকট গ্রাহক হয়রানী অনিয়ম ঘুষ দূর্নীতে ভেঙ্গে পড়েছে মেহেরপুর বিআরটিএ অফিসের কার্যক্রম। ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা মটর গাড়ীর রেজিষ্টেশনের জন্য বছরের পর বছর ঘুরতে হয় মেহেরপুর বিআরটিএ অফিসে। এখানে ড্রাইভিং লাইসেন্স আর মোটরযান রেজিস্ট্রেশন মানে সোনার হরিণ। দ্রত সময়ের মধ্যে গ্রাহক সেবা বৃদ্ধির দাবি করেছে ভুক্তভুগীরা। নতুন সড়ক পরিবহন আইন চালুর সাথে সাথে মেহেরপুর বিআরটিএ অফিসে বেড়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিষ্টেশন প্রত্যাশীদের ভিড়। অন্য সময়ের তুলনায় এখন প্রায় তিন চার গুন আবেদন জমা পড়ছে। পরীক্ষায় পাশ করলে পুলিশ ভেরিফিকেশন, বায়োমেট্রিক ছাপসহ আনুসাঙ্গিক কাজে ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাসে লাইসেন্স কিংবা রেজিষ্টেশন পাওয়ার কথা। সেখানে জনবল সংকটের অজুহাতে বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছে না সেবা। গাংনী বাজারের ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম জানান,লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে গাড়ী কিনতে পারলে সামান্য টাকা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মটরসাইকেলের রেজিষ্টেশন করাতেও পারবেন তারা। কিন্তু মেহেরপুর বিআরটিএ অফিসের হয়রানীর কারনে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মটরসাইকেলের রেজিষ্টেশন করাতে পারছেন না তারা। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মটরসাইকেলের রেজিষ্টেশন করাতে না পারার কারনে যত্রতত্র ট্রাফিক পুলিশের মামলার স্বীকার হচ্ছেন তারা। অনেকেই বাধ্য হয়ে ব্যাক্তিগত মটরসাইকেল চালানো বন্ধ রেখেছে। ভুক্তভুগীদের দাবি সরকারী ফিস নিয়ে দ্রত সময়ের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মটরসাইকেলের রেজিষ্টেশন দিতে। তা না হলে আইন অমান্য করেই গাড়ী চালাতে বাধ্য হবেন তারা। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মটরসাইকেলের রেজিষ্টেশন নিয়ে কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটলে মেহেরপুর বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে দায়ভার বহন করতে হবে। জনবল সংকট দ্রত সমাধান করে গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি করতে কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি করেছে ভুক্তভুগীরা। তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের মাসুম জানায়,সরাসরি গ্রাহকের কাছ থেকে রেজিষ্টেশনের জন্য কাগজ জমা নিচ্ছেনা বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শোরুম মালিকদের মাধ্যমে জমা নেয়া হচ্ছে সেখানে গুনতে হচ্ছে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শোরুম মালিক জানান,আমরা গ্রাহকদেও কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নিলেও বিআরটিএ অফিসকে ২ হাজার টাকা দেয়া লাগে। হিজলবাড়িয়া গ্রামের ইটভাটা ব্যবসায়ী নাজমুল হক বলেন,ঘুষের টাকা না দেওয়ায় ৩ বছরের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হয়নী তাকে। এ বিষয়ে মেহেরপুর বিআরটিএ অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নী। মেহেরপুর বিআরটিএ অফিসের মটরযান পরিদর্শক সালাউদ্দীন প্রিন্স জানায়, নতুন সড়ক পরিবহন আইন চালুর সাথে সাথে আগের তুলনায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিষ্টেশন পেতে তিন চার গুন আবেদন জমা পড়ছে। মাত্র ৩ জন জনবল দিয়ে গ্রাহকদের প্রত্যাশিত সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। দ্রত সময়ের মধ্যে জনবলের ব্যবস্থা করলে সেবার মানবৃদ্ধি হবে। ঘুষলেনদেনের বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!