গাংনীতে অপহৃত সেই তুহিন ও লালনের নামে উল্টো চুরি ও চাঁদাবাজির মামলা

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুরের গাংনীতে অপহৃত সেই তুহিন হোসেন ও তার দুলা ভাই লালনের নামে উল্টো চুরি ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার মটমুড়া ইউপি ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সোহেল আহমেদ বাদী হয়ে গাংনী থানায় মামলাটি দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরহাদ হোসেন জানান, চুরি ও চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে সাহেবনগর গ্রামের তুহিন হোসেন ও তার দুলা ভাই লালনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ১২ তাং ১৫-০৬-১৯ ইং। ধারা ৩৮৫/৩৭৯। এদিকে সোহেলের ছিনতাই হওয়া হিরো গ্লামার মটরসাইকেলটি শনিবার বিকালে পার্শবর্তী খলিশাকুন্ডি গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে তুহিনের পিতা সাহেবনগর গ্রামের হাফিজুল ইসলাম বলেন,আমার ছেলেকে যারা অপহরণ করেছে তারাই উল্টো আমার ছেলে তুহিন ও জামাতা লালনের নামে মামলা করেছে। আমার ছেলে অপহরণ হলো জামাতাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলো। জামাতার উপর নির্যাতিত করা হলো। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো। নির্যাতিত হয়ে আমার ছেলে ও জামাতা এখন পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উল্লেখ্য : বুধবার সন্ধ্যায় তার ছেলে তুহিন ও তার দুলাভাই লালন হোসেন গরু ক্রয় ও বেড়াতে তুহিনের শশুরবাড়ি কামারখালী গ্রামে যায়। সেখানে পৌছে গরু ক্রয়ের জন্য তুহিন তার শাশুড়ী মালা খাতুনের কাছে ৫০ হাজার টাকা দেয়। পরে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তুহিন তার চাচা শশুর সোহেল আহমেদ’র মোটরসাইকেল নিয়ে লালনকে বামুন্দীতে রেখে আবার কামারখালী যাওয়ার পথে ছাতিয়ান-কামারখালীর একটি মাঠে কয়েকজন তুহিনের পথরোধ করে। এসময় মটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নিয়ে মারধর করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। পরে তুহিনের কাছে থাকা মোবাইল থেকে অপহরণকারীরা তুহিনের চাচা শশুর সোহেলকে কল দিয়ে ২ লক্ষটাকা চাঁদাদাবি করে। চাঁদার টাকা না পেলে হত্যারও হুমকী দেয়া হয়। এরপর চলে রাতভর চাঁদা লেনদেনের নাটকীয়তা। ঐ রাতেই জোড়পুকুর বাজার থেকে তুহিনকে আহতবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!