গাংনীতে আওয়ামীলীগের ৪ কর্মীকে কুপিয়েছে প্রতিপক্ষরা। ৪টি বোমা বিস্ফোরন।

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুরের গাংনীতে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের ৪ কর্মীকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে উপজেলার সাহারবাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আওয়ামীলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলে পরপর ৪টি বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। বোমা বিস্ফোনের ঘটনায় একেঅপরকে দায়ি করেছে।
আহতরা হলেন,সাহারবাটি গ্রামের মাবিয়া মহলদারের ছেলে বদরুজ্জোহা তার ভাই সামচ্ছুজ্জোহা এবং ইসলাম আলী ও তার ছেলে সুজন আলী।
দুটি গ্রুপের এক পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আতাউর রহমান টোকন ও ইসলাম আলী তাদের সাথে রয়েছে আওয়ামীলীগ সমর্থিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম টুটুল তার সাথে রয়েছে মুকুল হোসেন।
স্থানীয়রা জানান,আধিপত্ত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিলো। ইতো পূর্বে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে বেশ কয়েক আহত হওয়ায় দুটি পক্ষই থানায় মামলা করে। মামলায় জামিন নিয়ে আবারো সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছে দুটি গ্রুপ।
সাহারবাটি গ্রামের বাসিন্দা ও ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান টোকন বলেন,দুপক্ষের উত্তেজনার সময় রাকিবুল ইসলাম টুটুল ও মুকুলের নেতৃত্বে দুলাল ও আসিফ সহ তাদের সহযোগিরা পরপর ৪টি বোমার বিস্ফোরন ঘটনায়। বোমা বিস্ফোরনে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও চারিদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে যে কোন সময় বড় ধরনের সহিংশাতার ঘটনা ঘটতে পারে।
বোমা বিস্ফোরন ও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম টুটুল বলেন,আয়েস উদ্দীন,টোকন,আমানুল,সুমন ও শওকত আলী সহ তাদের সহযোগিরা বোমা বিস্ফোরন ঘটিয়ে তাদের উপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা করছে। এছাড়া তিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ঘোষনা দেওয়ার পর থেকে হত্যার নানা ষড়যন্ত্র করছে পক্ষটি। ইতোপূর্বে দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। সে ঘটনায় মেহেরপুর আদালতে উভয় পক্ষের মামলা চলমান রয়েছে। প্রকৃত দোষিদের চিহিৃত করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ কর্মী ইসলাম আলী বলেন,রাকিবুল ইসলাম টুটুল সহ তাদের সহযোগিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে ও তার ছেলে সুজন ও বদরুজ্জোহা সহ ৪জনকে কুপিয়ে আহত করেছে। আহতদের মধ্যে বদরুজ্জোহার হাতের আঙ্গুল কেটে পড়ে গিয়েছে। তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  এ বিষয়ে কথা বলতে মুকুল হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
আওয়ামীলীগ সমর্থিত সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জানান,রাকিবুল ইসলাম নৌকার মনোনয়ন পেলে আমরা সকলেই তার ভোট করবো। কিন্তু চেয়ারম্যান পদে ভোট করার কথা বলে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে রাকিবুল ইসলাম টুটুল। সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও বোমা কারিগর নিয়ে সাহারবাটি গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের অশান্ত করে তুলেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান,সংঘর্ষের ঘটনায় সাহারবাটি বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানের পরিবেশ শান্ত রয়েছে। আহতদের পক্ষ থেকে এখনও অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!