জমি উদ্ধারের দাবিতে গাংনীতে সংবাদ সম্মেলন

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে গাংনী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভুগীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভুগীদের পক্ষে অব: শিক্ষক ধর্মচাকী গ্রামের মো: শামছুল হুদা তিনি বলেন, হিজলবাড়ীয়া মৌজার ৩৯০ দাগে ২৪.৯০ শতক জমি মেদিনীপুর জমিদারভুক্ত ছিল। জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থান সরকারের নামে এস.এ খতিয়ান ১ এ ১৪.৯২ শতক জমি রেকর্ড হয়ে যায়। দেবীপুর গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে মৃত রেকাব উদ্দীন তৎকালীন সরকারের কাছে খাস জমি বন্দোবস্ত নেয়ার জন্য আবেদন করেন। আবেদন যাচাই বাছাই পূর্বক ৪৫ নং মৌজা হিজলবাড়ীয়ার ৩৯০৩ দাগের ১৪.৯২ একর জমির মধ্যে থেকে ৩৯০৩/১ বাটা একদাগের স্কেস ম্যাপ প্রস্তুত করে একই স্থানে ৫ একর জমি বন্দোবস্ত দেয়। বন্দোবস্তের পর রেকাব উদ্দীন নজির হোসেন, মফেজ উদ্দীন, ফাকের আলী, সাকের আলী, আঃ সাত্তার ও সিরাজুলের নিকট বিক্রি করেন। বাকী জমি আঃ আজিজ গং ও মহাসিন আলীর নিকট বিক্রি করেন। অবশিষ্ট ০৪ শতক জমি রেকাব উদ্দীন ভোগ দখল করেন। এদিকে শামসুল হুদার পূর্বাধিকারের জন্য খারিজের জন্য আবেদন করলে প্রতিপক্ষ ধর্মচাকী গ্রামের লিটনের পিতা আব্দুল লতিবে সহ অবৈধ ভূমিহীন কয়েকজন আপত্তি দিলে কেসটি উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বাতিলের আদেশ দেন এবং রেকাব উদ্দীনের হোল্ডিং বহাল রাখেন। খারিজ কেসটি বাতিল হওয়ার পর শামসুল হুদা গং ১৯৮৯ সালে দেং-৮৬ নং কেস দাখিল করলে উভয় পক্ষের শুনানীর পর ২৮/১০/১৯৯১ সালে শামসুল হুদার পক্ষে রায় ও ডিক্রি হয়। পরবর্তীতে ভুমিহীন আঃ লতিব জজ আদালতে আপিল করলে মাননীয় বিচারক তিনটি আপিল একত্রে শুনানীর পর লতিব ও জনৈক শুকুরের আপিলটি মঞ্জুর হয়। এভাবে পরপর পাঁচবার প্রতিপক্ষ ও শামসুল গং উচ্চ আদালতে মামলা করলে উক্ত জমি পরবর্তীতে জনৈক আঃ কাদের ও তহুরা খাতুনকে বন্দোবস্ত দেন ভুমি অফিস। শামসুল হুদা গং উক্ত বন্দোবস্ত বাতিলের বিরুদ্ধে এবং রেকর্ড সংশোধনের জন্য পুনরায় বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী কেসটি দায়ের করলে তার পক্ষে রায় ঘোষিত হয়। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে প্রতিবাদী হিসাবে ৬৪ নং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ডেপুটি কমিশনার মেহেরপুর ৬৫ নং প্রতিবাদী হিসাবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস¦) মেহেরপুর এবং ৬৬ নং প্রতিবাদী উপজেলা (রাজস¦) অফিসার গাংনী নিজ নিজ বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করার পর বিভাগীয় কমিশনার মহোদয় বিবাদীগণকে জমি বুঝিয়ে দিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেলেয়ার হোসেনকে বলেছেন বলে তারা প্রচার করেছে তারা। এটি যদি হয়ে থাকে তাহলে আদালতের রায়কে সু-স্পৃষ্ঠ অসম্মান করা হয়েছে। তাই জমিজমা সংক্রান্ত এ বিষয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান রেখে প্রকৃত মালিকদেরকে জমির মালিকানা বুঝিয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন সামসুল হুদা গং। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!