গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পদ বঞ্চিত নেতা কর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টায় গাংনী শহীদ মিনার চত্তরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যপাঠ করেন পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হাবিব। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল বারী,হিসাব উদ্দীন,আমারত উল্লাহ মন্টু,মোজাম্মেল হক,লিজামুল হক,তাহাজ উদ্দীন,রুহুল আমিন,পাতান আলী,সরকারী ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসিব,ছাত্রলীগ নেতা হুমায়ন কবীর,আনোয়ার হোসেন,মনিরুল ইসলাম,শামীম হোসেন,রাকিবুল ইসলাম,সজিব আহমেদ,জাবেদ,আশিকুল ইসলাম সাগর, মোক্তার হোসেন, মোঃ আসাদুল ইসলাম,সোহেল রানা মোয়াজ্জেম হোসেন, সুজন,নাহিদুজ্জামান নাহিদ,শেখ সজল খান,তরিকুল ইসলাম,শাকিল মিলন ও ইমরান সহ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অবিলম্বে টাকার বিনিময়ে গঠিত কমিটি বাতিলের দাবি জানানো হয়। উল্লেখ্য : গত ৪ দিন টানা কর্মসূচী পালন করে আসছে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা। এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা শিশিরপাড়ার আব্দুল বারী ও একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক দাবি করে বলেন,মুক্তিযুদ্ধে আমিনুল ইসলাম সেন্টুর পিতা জমির উদ্দিনের বিতর্কিত ভুমিকা ছিলো। লিখিত বক্তব্য পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হাবিব বলেন, দেশরতœ শেখ হাসিনা যখন মাদক, দূর্নীতি, অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রীড, রাজাকার ও ফ্রিডম পাটির্র বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করে দল ও দেশকে কাঙ্খিত জায়গায় নিয়ে আসতে চাচ্ছেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্িরমকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে দূর্নীতিবাজ, মাদকাসক্ত, রাজাকার ও ফ্রিডম পার্টির অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দলকে ঢেলে সাজাচ্ছেন। ঠিক তখনই সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিকভাবে অর্থের বিনিময়ে, রাতের আধারে ঢাকায় বসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মেহেরপুর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মুন্তাসির জামান মৃদুল একটি পকেট কমিটির অনুমোদন দেয় যা আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মারফত জানতে পারি। পকেট কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু, পিতা জমির উদ্দিন, গ্রাম- শিশিরপাড়া তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন চিহ্নিত রাজাকার হিসেবে কাজ করেছে। হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত যার স্বাক্ষী হিসেবে এখনও জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমান আছেন। শুধু তাই নয় ১৯৮৮ সালে বঙ্গবন্ধুর খুনী মেজর বজলুল হুদা ফ্রিডম পার্টি গঠন করে ব্যালট বাক্স ছিনতাইসহ জোর করে গাংনীতে এমপি হয়েছিল। তখন এই জমির উদ্দিন খুনী হুদার সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী সদস্য হিসেবে দেহরক্ষীর দায়িত্ব পালন করে। তৎকালীন সময়ে ১৯৮৮ সালে গাংনী বাজার বাসস্ট্যান্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকীতে ছাত্রলীগের মিলাদ-মাহফিলে এই সেন্টুর বাবা জনু রাজাকার সহ খুনী হুদার ক্যাডার রব, আঃ মান্নান, আক্তার, ফরিদসহ আরও কিছু খুনী হুদার সশস্ত্র ক্যাডার হামলা চালিয়েছিল। তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা মুরাদ, পলাশ, লিখন, খোকনদের উপর প্রশাসনের ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে। “মহামুক্তির মহান দিবস, ঐতিহাসিক ১৫ই আগস্ট” ¯েøাগান দিয়ে হামলা চালিয়েছিল। আমিনুল ইসলাম সেন্টু একজন চিহ্নিত মাদকসেবী হিসেবে প্রশাসনের ফাইলবন্দী আছে এবং সে অতীতে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। পকেট কমিটির সাধারন সম্পাদক ফয়সাল জাহান শিশির এর বাপ-দাদা আওয়ালীগের জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী বিরোধী ছিল। তার বাড়ী ধানখোলা ইউনিয়নের গাঁড়াডোব গ্রামে। তার দাদা মৃত আতর আলী মুসলীম লীগের নেতা ছিল। তার বাবা হামিজ উদ্দিন মাস্টার বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে এখনও জড়িত। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও বঙ্গবন্ধুর খুনী পরিবারের উত্তরাধিকারীরা জায়গা পাওয়ায় গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের জাতির পিতার আদর্শের ক্সসনিকেরা মেনে নিতে না পারায় গত কয়েকদিন ধরে গাংনীর রাজপথে শান্তিপুর্ন প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করছে এবং এই পকেট কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে গঠনতান্ত্রিক উপায়ে কাউন্সিলর, ডেলিগেট নির্ধারণ করে এবং সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের মিলনমেলা ঘটিয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন না করা পর্যন্ত আমাদের এই গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলমান থাকবে।