ফারুক আহমেদ,গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের বিরোধের জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অন্তত ৫ জন ছাত্রলীগ নেতা কর্মী আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে গাংনী হাসপাতাল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এসময় নব গঠিত কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু ও সাধারন সম্পাদক ফয়সাল জাহান শিশিরকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষুদ্ধ নেতা কর্মীরা। গাংনী শহর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হাবিব বলেন,কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আগমনে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা হাসপাতাল বাজারে জড়ো হয়। এসময় নবগঠিত কমিটির সভাপতি সম্পাদককে একটি দোকানে দেখে তাদের অবরুদ্ধে করে বিক্ষুদ্ধ নেতা কর্মীরা। এসময় শ্লোগান দেয়া কে কেন্দ্র করে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়ে আহত হন গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজের সভাপতি মাহমুদ হাসিব।
মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মুনতাছির জামান মৃদুল জানান,হামলার ঘটনায় তার ৫জন নেতা কর্মী আহত হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তৌহিদ হোসেন জানান শ্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে ভুলবোঝাবুঝির এক পর্যায় সামান্য হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ,গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা,সাবেক মেয়র আহমেদ আলী ও পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে পুলিশ পাহারায় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারন ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজের সভাপতি মাহমুদ হাসিব বলেন,গত ৫ জানুয়ারী রবিবার রাতে পূর্বের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আমিনুল ইসলাম সেন্টুকে সভাপতি ও ফয়সাল জাহান শিশিরকে সাধারন সম্পাদক মনোনিত করা হয়। এ কমিটি সভাপতি সাধারন সম্পাদক রাজাকার ও বিএনপি জামায়াতের পরিবারের সদস্য এমন অভিযোগ তুলে কমিটি বাতিলের দাবিতে মাথায় কাফনের কাপড় পড়ে ধারাবাহিক কর্মসূচী পালন করে বিক্ষুদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা। এক আন্দোলনের এক পর্যায় গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় কমিটি। সেই সাথে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সোহান খান ও আরিফুজ্জামান আল ইমরানকে সার্বিক ঘটনা তদন্ত করে আগামি ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। তদন্ত করতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ মেহেরপুর পৌছানোর পর মটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে গাংনীতে হাসপাতাল বাজারে আনা হয়। এ সময় শ্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। গাংনী থানার ওসি তদন্ত মো: সাজেুল ইসলাম বলেন,হামলার সংবাদ পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিবেশ শান্ত করেন। এ বিষয়ে সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু ও সাধারন সম্পাদক ফয়সাল জাহান শিশিরের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নী।