গাংনীতে জমিতে চাষাবাদে বাধা প্রদান বন্ধ ও আইনশৃংখলা রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে ইউএনও’র চিঠি

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুরেরর গাংনীর রামনগরে জমিতে ফসল তসরুপাত ও চাষাবাদে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের কাছে সুপারিশ করেছে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল। সম্প্রতি উপজেলা নিবাহী অফিসারের ০৫.৪৪.৫৭.৪৭.০০০.০৪.০১৭. ১৯-৮৮৫ নং স্বারকে গাংনী থানার ওসি বরাবর আইনগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পালের স্বারক সূত্রে জানা গেছে,উপজেলা বজ্রপুর গ্রামের রজব আলী গং রামনগর মৌজায় তাদের নামীয় ১৭২,১২৮৩,১৭৩,৩৫২, নম্বর খতিয়ান ভুক্ত ২৯৫৬,৩২৭১,২৯৫৮, ৩১৫৮, নম্বর দাগের ৯.১৪ একর জমি চাষাবাদ করলেও রামনগর গ্রামের মোবারক মন্ডলের ছেলে আবুল কাশেম,আজিজুলের ছেলে আমজাদ হোসেন,হামিদুল ইসলাম,ছাত্তার চৌকিদারের ছেলে আরিফ,আফসার আলীর ছেলে নাজিমুদ্দীন,মল্লিকের ছেলে আফফান আলী,মতজোত আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান,সমেরের ছেলে সমসের আলী,চাদ চৌকিদারের ছেলে আব্দুল বারী,ইয়াসিনের ছেলে কালাম ইতোপূর্বে গাংনী থানায় বসে উভয় পক্ষ ৩শত টাকার ষ্টাম্পে অঙ্গিকার করে যে চাষাবাদে কোন রকম প্রতিবন্ধকতা তৈরি ও ফসল তসরুপাত করা হবেনা বলে অঙ্গিকার করলেও এখন অভিযুক্তরা আবারো চাষাবাদে বাধা ও ফসল তসরুপাত করছে। এছাড়া রামনগর গ্রামের মোফাজ্জেল,আবুল কাশেম,আব্দুল বারী,কুরমান আলী, ও আব্দুস সাত্তার খাস জমি বিরোধ নিস্পত্তি করণে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি আবেদন করে। আবেদনের উপর উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানী ও তদন্ত করা হয়। তদন্তে বিনিময় দলির,ভিপি অবমুক্তিপত্র,আরএস রেকর্ড ও আনুসংঙ্গিক কাগজ পত্র বিবেচনা কওে নালিমী জমিতে আর এস রেকর্ডীয় মালিকগণের স্বত্ত বিদ্যমান থাকায় ঐ জমিতে শান্তি শৃংখরা বজায় রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে। গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান,উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ব্যবস্থা গ্রহনের অফিস কপি পেয়েছি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে জমিতে চাষবাদ করতে না পারার কারনে প্রায় ৪বিঘা বেশকছিুদিন যাবৎ পতিত অবস্থায় রয়েছে। জমিতে চাষবাদ করতে গেলে মারধর এমনকি জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করে ভুক্তভুগীর পরিবার। জমিতে ফসল ফলাতে না পেরে সংসার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন ঐ পরিবারটি। জমির মালিক উপজেলার বালিয়াঘাট গ্রামের রজব আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন জানান,গত ১৪-০৪-১৯৮৩ সালে ৩৪৩৩ ও ৩৪৩৪ নং দলিলে ১২৮৩ খতিয়ানে বজ্রপুর গ্রামের হারেজ আলীর কাছ থেকে প্রায় ৪ বিঘা জমি ক্রয় করি। পরবর্তীতে ৪০৮/৯ পি১/২০০৯ তারিখ ০৯-১১-০৯ সালে নামজারি করা হয়। নামজারির পর থেকে বিধি মোতাবেক ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা হয়। আর্থিক অনটনের কারনে তার পিতার নামে ঐ জমি বর্গা রেখে বামুন্দী জনতা ব্যাংকে আলু ফসলের উপর গত ৩১-৮-১৩ ইং তারিখে ৫০ হাজার ঋন নেয়া হয়। সম্প্রতি আমার বাবা মৃত্য বরণ করে। এই সুযোগে রামনগর গ্রামের আফফান আলী,নাজিমুদ্দীন, আমজাদ আলী,হামিদুল ইসলাম,সমশের আলী,শরিফুল ইসলাম,আবুল কালাম, আব্দুল মান্নান, সহ তাদের সহযোগীরা আমাদের ঐ জমিতে চাষাবাদে বাধা প্রদান করে আসছে। এছাড়া ঐ দাগে আরো জমি রয়েছে সেগুলোতে চাষাবাদে বাধা দিচ্ছে। অভিযুক্ত নাজিমউদ্দীন বলেন,বন্ড সই দিয়ে এসেছি তাই ঐ জমির উপর যায়না। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা। আফফান আলী বলেন,ঐ জমি খাস হওয়ার কারনে আমার বাবা চাষবাদ করতে এখন আমরা চাষাবাদ করি। কিছু দিন আগে ফ্যাসাদ সৃষ্টি হওয়ার কারনে আমরা আর চাষাবাদ করিনী। গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম সাহাবুদ্দীন বলেন,জমি পতিত থাকলে ফসল উৎপাদন হবেনা। তাই দ্রত সময়ের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে জমিতে ফসল ফলাতে হবে। কারন ফসল দেশের সম্পদ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!