গাংনীতে ভুমি অফিসের সহায়তায় শত বছরের সরকারী গাছ কাটার অভিযোগ

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুরের গাংনীতে ভুমি অফিসের সহায়তায় শত বছরের লক্ষাধিক টাকা মূল্যে’র সরকারী গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পালের নির্দেশে গাছ গুলো জব্দ করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীরা অভিযোগ করে বলেন,সম্প্রতি মটমুড়া ইউনিয়নের মরা নদীর পার্শের রাস্তার শত বছরের কাঁঠাল,মেহগুনি ও শিশু গাছ কর্তন করে এই গ্রামের ইমরান হোসেন,হাউস আলীর ছেলে সেন্টু মিয়া,আব্দুল আলিমের ছেলে ফরিদ হোসেন,আজিজুল ইসলামের ছেলে মিলন হোসেন। স্থানীয়রা জানায়,মটমুড়া ভুমি অফিসের তহশিলদার শাপলা খাতুনের সহায়তায় এসব গাছ কর্তন করা হয়েছে। গাছ কর্তনের সহায়তায় ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলেও গুঞ্জন উঠছে। তবে ঘুষ নেবার বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন মটমুড়া ভুমি অফিসের তহসিলদার শাপলা খাতুন। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল বলেন,এই গাছ গুলো কর্তন করা হবে এমন সংবাদ বেশ কয়েকদিন আগে পাওয়ার পর গাছ গুলো কর্তন করতে নিষেধ করা হলেও অভিযুক্তরা প্রশাসনের নিষেধ না শুনে গাছ গুলো কর্তন করেছে। ইতোমধ্যে গাছগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল আরো বলেন, মটমুড়া ভুমি অফিসের তহশিলদার শাপলা খাতুনের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন তবে সত্য মিথ্যা তদন্তের পর জানা যাবে। দোষি প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গাংনী ভুমি অফিসের অফিস সহায়ক মোহাম্মদপুর গ্রামের মহিবুল ইসলামের ছেলে সনি জানায়, গাছ গুলো বেশ কয়েকদিন আগেই কাটা হয়েছে ইউএনও স্যারের নির্দেশে একটি বাঁশবাগানের মধ্যে থেকে গাছ গুলো উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা ভুমি অফিসে নেয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানান,মোহাম্মদপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ও হাফিজুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ এই গাছ গুলো রক্ষনাবেক্ষন করে আসছিলো। তাদের দাবি সরকারী জমিতে বহুবছর আগে তার বাবারা গাছ গুলো রোপণ করেছিলো।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!