গাংনী হাসপাতালের বাবুর্চী লাইলীর বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ। তদন্ত কমিটি গঠন

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুরের গাংনী হাসপাতালের বাবুর্চী লাইলী খাতুনের বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় লাইলী খাতুনকে কৈফিয়ত তলব সহ ঘটনা তদন্তের ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর ২২ জানুয়ারী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এম রিয়াজুল আলম বলেন, লাইলী খাতুনকে বারবার সতর্ক করা সত্বেও কেন কেজি চাল চুরি করা হয়েছে এ বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া চাল চুরির বিষয়টি চাকুরী ও শৃংখলা বিধির পরিপন্থি একারনে লাইলী খাতুনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও বদলির সুপারিশ কেন করা হবেনা তা আগামি ৩ কার্য দিবসের মধ্যে লিখিত ভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
এদিকে চাল চুরির ঘটনা তদন্তে ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: হামিদুল ইসলামকে সভাপতি ও এস এস এন মোছা: রাফিজা খাতুনকে সদস্য ও এমটি ইপিআই মো: আব্দুর রশিদকে সদস্য সচিব করে ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
ঠিকাদার ইয়াসিন আলী ও তার প্রতিনিধি ইমরান হোসেন জানান,গত শনিবার ২০ জানুয়ারী সকালে একটি বালতিকে করে উৎসৃষ্ট ভাতের সাথে ব্যাগ ভর্তি ৫ কেজি চাল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরি। পরে এ ঘটনা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এম রিয়াজুল আলমের কাছে লিখিত আবেদন করলে তিনি তদন্ত কমিটি ও বাবুর্চী লাইলী খাতুনকে কৈফিয়ত তলব করেছেন। তিনি বলেন রুগীদের জন্য মানসম্মত খাবার দেয়া হলেও বাবুর্চী লাইলীর কারনে মান সম্মত খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারকে জিম্মি করে লাইলী খাতুন রুগীদের খাদ্য খাবার বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে চাল সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিক্রির অভিযোগও উঠেছিলো।
রুগীরা জানান,বাবুর্চী লাইলী খাতুন নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করে। রান্নার মান নিম্ন মান ও নোংরা খাবার খেয়ে রুগীরা আরো অসুস্থ হতে পারে এমন আশংখায় অনেক রুগী তাদের খাবার নেয়া থেকে বিরত থাকেন।
রুগীর স্বজনদের অভিযোগ,হাড়িপাতিল ঠিকমত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না করেই দায়সারা ভাবে রান্না করে বাবুর্চী লাইলী খাতুন। সে স্থানীয় ও প্রভাবশালী হওয়ার করনে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলেনা। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলেও কর্তৃপক্ষের নিরব ভুমিকার কারনে সে পার পেয়ে যায়।  এ বিষয়ে বাবুর্চী লাইলী খাতুনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। এমনকি কয়েকবার হাসাতালের রান্না ঘরে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নী।
এদিকে বিভিন্ন সময়ে রুগীদের খাদ্য কম দেয়া,রান্নার মান নিম্ন মানের হওয়া ও অস্বাস্থ্য কর পরিবেশে রান্নার বিষয়ে অভিযোগ উঠলে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন পরিদর্শনে গিয়ে বাবুর্চী লাইলী খাতুন সহ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তদন্ত কমিটির সভা ও ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: হামিদুল ইসলাম বলেন,ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। দুজনকে বক্তব্য নেয়া হয়েছে আরো কয়েকজনের বক্তব্য নিয়ে আগামী সোমবার পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!