ঠিকাদারের মামলায় গাংনীর তিনটি গুরুত্বপূর্ন সড়কের কাজ বন্ধ। দূর্ভোগে লাখো মানুষ

কর্তৃক farukgangni

ফারুক আহমেদ :

দরপত্র প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা ও কার্যাদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে গরমিলের অভিযোগে ঠিকাদারের করা মামলার কারণে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তিনটি গুরুত্বপূর্ন সড়কের সংস্কারকাজ চার বছর ধরে আটকে আছে। এতে এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন লক্ষাধিক মানুষ। এই সড়ক ভাঙ্গাচোরা ও চলাচলের অনুপোযুগী হওয়ার কারনে পরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বামুন্দী-নওদাপাড়া ১ কোটি ৫ লাখ, ধলা-কাজিপুর১ কোটি ১৩ লাখ ও মটমুড়া মোহাম্মদপুর সড়ক সংস্কারে প্রায় ৩ কোটি টাকার দরপত্র আহবান করা হয়।
দরপত্র প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা ও কার্যাদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে গরমিলের অভিযোগে ঠিকাদারের করা মামলার কারণে গত চার বছর রাস্তাটি সংস্কার করা যায়নি। ফলে সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তিনটি সড়কেই অসংখ্য বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কগুলো খানাখন্দে পরিণত হওয়ায় প্রতিনিয়ত বাস, ট্রাক, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল উল্টে পঙ্গগুত্ববরণ করেছে অনেকেই। ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে। বর্তমানে ওই রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এ এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে ধ্বস নেমেছে।
এই এলাকা থেকে প্রতিদিন সবজি বোঝাই ট্রাক দেশের বিভিন্ন জেলার কাঁচাবাজারে রপ্তানি হয় রাস্তা ভাঙ্গাচোরা হওয়ার কারনে ঢাকা যাওয়ার একমাত্র পথও বন্ধ হয়ে গেছে। অটোবাইক চালক জহিরুল ইসলাম বলেন,দীর্ঘ চার বছর সড়ক সংস্কার না হওয়ার কারনে অন্তত ১০ বার অটোবাইক উল্টে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জন।
মটরসাইকেল চালক সাইফুল ইসলাম বলেন,প্রতিদিন দূর্ঘটনা ঘটে। কেউ দূর্গটনা রোধে রাস্তা সংস্কারে কারোর উদ্যোগ নেই। ট্রাক চালক সাফিরুল বলেন,রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে লোডগাড়ি তো দুরের কথা খালি গাড়ীও চলাচরো যায়না। দ্রত সময়ের মধ্যে মামলা নিস্পত্তি করে সড়কগুলো সংস্কার করার দাবি তাদের। পরিবহন চালক শাহিন আলী বলেন,রাস্তা চলাচলের অনুপোযুগি হওয়ার কারনে ঢাকার সাথে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মামলার বাদী ঠিকাদার জাকাউল্লাহ বলেন, ‘একই দিনে ৯টি সড়ক উন্নয়নকাজের দরপত্রের লটারি হয়। আমার প্রতিষ্ঠান তিনটি কাজ পেলেও দরপত্রে ভুল আছে উল্লেখ করে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ জন্য আদালতে মামলা করেছি। লকডাউন শেষ হলেও মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। তবে এলজিইডি অফিসের টেন্ডার, লটারি ও ওয়ার্ক অর্ডারে স্বচ্ছতা আনা জরুরি।
গাংনী উপজেলা প্রকৌশরী গোলাপ আলী শেখ বলেন,ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি তিনি মামলা প্রত্যাহার করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। মামলাটি প্রত্যাহার করা হলে আগামি ২ মাসের মধ্যে টেন্ডার শেষ করে কাজ শুরু করা হবে।
সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন,মামলাটি নিস্পত্তির জন্য ঠিকাদার সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা হয়েছে। আশা করছি দ্রত মামলাটি প্রত্যাহার করা হবে। মামলা প্রত্যাহারের কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!