গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় গাংনী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ফারহানার ভাড়া বাড়িতে তার প্রেমিক মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের আনসারুল হকের ছেলে গোলাম সারোয়ার সবুজের সাথে ২০ লাখ টাকা দেন মোহরে তার বিয়ে হয়।
স্থানীয়রা জানান, ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন তার প্রয়াত স্বামী সাহাবুদ্দীন জীবিত থাকাবস্থায় গোলাম সারোয়ার সবুজের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু দিন যাবৎ গোলাম সারোয়ার সবুজ ফারহানার বাড়িতে যাতায়াত করতো। ফারহানা ও গোলাম সারোয়ার সবুজের আচরনে স্থানীয় মানৃুষের মাঝে নানা সন্দেহের সৃষ্টি হয়। গোলাম সারোয়ার সবুজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ফারহানার বাড়িতে আসলে 
স্থানীয় লোকজন তাদের আটকে রাখে। খবর পেয়ে গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এম এ খালেক ও পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম,গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ওবাইদুর রহমান, স্থানীয় কাউন্সিলর আছেল উদ্দীন,কাউন্সিলর নবীর উদ্দীন,শ্রমিক নেতা মনিরুল ইসলাম মনি সহ প্রতিবেশিরা ফারহানার বাড়িতে ছুটে আসেন। পরে নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন দাবি করেন গোলাম সারোয়ার সবুজ তার ছোট ভাই বিভিন্ন প্রয়োজনে সে তার বাড়িতে যাতায়াত করে। তার সাথে কোন অনৈতিক সম্পর্ক নেই। সম্পর্কের বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহের সৃষ্টি হওয়ায় গোলাম সারোয়ার সবুজের ম্যাসেঞ্জার পরীক্ষা করে কিছু অশ্লিল ছবি ও কথাবার্তা পাওয়া যায়। পরে উভয়ের সম্মতিতে ২০ লাখ টাকা দেন মোহরে তাদের বিয়ে হয়।
মেয়ে পক্ষের উকিল পৌর মেয়র আশরাফুল জানান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জনপ্রতিনিধি ও স্থানীদের উপস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিনের সাথে তার প্রেমিক গোলাম সারোয়ার সবুজের সাথে ২০ লাখ টাকা দেন মোহরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। মেয়ে পক্ষের দুজন স্বাক্ষী হলেন কাউন্সিলর আছেল উদ্দীন ও শ্রমিক নেতা মনিরুল ইসলাম মনি।
বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কাজি মনিরুল ইসলাম বলেন,২০ লাখ টাকা বাকী দেনমোহরে ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ও গোলাম সারোয়ার সবুজের বিয়ে হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মুহসিনুল কবির ওরফে মহাসিন হুজুর। বিয়েতে উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা জানান,বিয়ের সময় ছেলের পিতা,চাচা ও তাদের স্থানীয় ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ওবাইদুর রহমান জানান, মেহেরপুর এলাকার একটি ছেলেকে নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিনের বাড়িতে ঝামেলা হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে অন্য পুলিশ সদস্যদের রেখে গুরুত্বপূর্ন কাজ থাকায় চলে এসেছি। পরে তিনি জানতে পেরেছি ২০ লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ে হয়েছে।
গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক জানান,ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ও গোলাম সারোয়ার সবুজের মধ্যে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সম্পর্কের জেরে গোলাম সারোয়ার সবুজ প্রায় প্রতিনিয়ত ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিনের বাড়িতে যাতায়াত করতো। ঘটনার সময় দুজন একবাড়িতে রয়েছে মর্মে খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন হৈচৈ শুরু করে। পরে দুজন দুজনকে ভালোবাসা ও অনৈতিকতার বিষয়টি প্রকাশ পেলে তাদের সম্মতিতে বিয়ে দেয়া হয়।
১ কমেন্ট
good