গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
মেহেরপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সিন্ডিকেট হোতা ফাহাদ ওরফে রাজুর দিন দিন দৌরাত্ব বেড়েই চলেছে। নানা অভিযোগ থাকলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সে। আর ফাহাদ ওরফে রাজুকে ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক। তাদের সিন্ডিকেটে কারণে চরম দূর্ভোগে পড়েছে পাসপোর্ট করতে আসা সাধারন মানুষ। ফাহাদ সিন্ডিকেটে চলে মেহেরপুর পাসপোর্ট অফিস শিরোনামে জাতীয়,স্থানীয় ও অন লাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ফাহাদ ওরফে রাজু ও উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে। ভুক্তভুগীরা জানান,টাকা না দিলে পাসপোর্ট আবেদনে নানা ত্রæটি ধরে দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকে। টাকা দিলেই দূর্ভোগ ছাড়াই মেলে পাসপোর্ট। গাড়াডোব গ্রামের ইসমাইল হোসেন জানান,তিনি পাসপোর্ট করার জন্য মেহেরপুর অফিসে গেলে প্রথমদিন একটি ত্রæটি ধাে সংশোধন করতে বলে ফাহাদ ওরফে রাজু। সেই ত্রæটি সংশোধন কাে আবার পাসপোর্ট অফিসে গেলে নতুন করে আরেকটা ত্রæটি ধরে আবেদন ফেরত দেয়। এভাবে দিনের পর দিন ঘুরিয়ে তারপর আবেদন জমা নেয়। আবেদন জমা নেওয়ার পর একদিন পরে ফিঙ্গার নেন। অথচ যারা টাকা দিচ্ছে দূর্ভোগ ছাড়াই আবেদন ও ফিঙ্গার দিনেই নেয়া হচ্ছে। ষোলটাকা ইউপি যুবলীগ নেতা আনোয়ার পাশা ফেসবুকে কমেন্ট করেছেন ফাহাদ ওরফে রাজুর কথা মত অফিস চলে। বামুন্দীর ব্যবসায়ী চপল বিশ্বাস লিখেছেন তিনি ১১শত টাকা ঘুষ দিয়ে পাসপোর্ট করেছেন। গাংনী পোষ্ট ই সেন্টার লিখেছেন পাসপোর্ট অফিসে চলে ভুতের খেলা। এম বাপ্পি লিখেছেন নিউজ মতভাগ সঠিক। এইচ কবির লিখেছেন অনিয়ম দূর্নীতি চলছে চলবে থামানোর লোক নেই। আলমগীর হোসেন লিখেছেন টাকা না দিলে আবেদনে নানা ভুল ধওে ফেরত দেবে। সেলিম হোসেন লিখেছেন দেখার কেউনেই টাকা ছাড়া ফাইল ধরেনা পাঠকরা এমন মন্তব্য করলেও ব্যবস্থাই নেয়া হয়নী অভিযুক্তদের। এদিকে উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাকের সাথে সাধারন মানুষ দেখা করতে চাইলে ফাহাদ ওরফে রাজু ও আনসার সদস্যদো বাধার মুখে পড়তে হয়। তাদের চাহিদা মেটাতে পারলে কর্তার সাথে দেখা করতে দেয়া হয়। এছাড়া ফিঙ্গার নেওয়ার সময় সাজাহান আলী নামের এক কম্পিউটার অপারেটর আগে পরে সিরিয়াল দেওয়া ও নেট সমস্যা দেখিয়ে আলাদা ভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক ও ফাহাদ ওরফে রাজু’র নিয়োগকৃত দালালদের মাধ্যমে কোন হয়রানী ছাড়াই পাসপোর্ট আবেদন নেয়া হয়। আর ফাহাদ ওরফে রাজু’র বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ তুললেই দালাল দিয়ে সেই ভুত্তভুগীকে মারধর কিংবা লাঞ্চিত করা হয়। দালাল থেকে শুরু করে অবৈধ লেনদেন সহ সব কিছুই চলে ফাহাদের ইশারায়। দালালির সাথে জড়িয়ে পড়েছে আনসার সদস্যরাও। অফিস সহকারী ফাহাদ ও তার নিয়োগকৃত দালালের কব্জায় বন্দি হয়ে পড়েছে মেহেরপুর পার্সপোর্ট অফিস। এবিষয়ে কথা বলতে সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা বলতে চাইলে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় সরকারী মোবাইল নম্বর ০১৭৩৩-৩৯৩৩৭১ বন্ধ পাওয়া যায়। ০৭৯১-৬২৫৮২ নম্বর টেলিফোনে বেশ কয়েকবার কল দিলেও রিসিভ করেনি কেউ। এদিকে অফিস সহকারী ফাহান ও সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে ও দূর্নীতি দমন কমিশনে দেয়া লিখিত অভিযোগের কপি এ প্রতিবেদনের হাতে এসেছে।
উল্লেখ্য :ফাহাদ ওরফে রাজুর ক্ষমতা দাপট সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগামিকাল বুধবার।