গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
“নভেল করোনাভাইরাস” সংক্রামনের কারনে গোটা দেশ যখন গভীর সংকট সময় পার করছে ঠিক সেই সময় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রুগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছে ডাক্তাররা। গত ৮ মার্চ করোনা সংক্রামন একরুগী সনাক্ত হওয়ার পর থেকে বেসরকারী হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বন্ধ রয়েছে। দু একটি ডায়াগনষ্টি সেন্টারে প্যাথলজি বিভাগ খোলা থাকলেও বন্ধ রয়েছে ডাক্তারী সেবা। রুগী ও তার স্বজনরা বেসরকারী হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে প্রত্যাশিত ডাক্তার না পাওয়ার অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। একারনে উপজেলার গ্রামগঞ্জ থেকে আগত অনেকে রুগী চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন রুগীরা। জানা গেছে,গাংনী উপজেলায় অন্তত ১২টি ক্লিনিক ডায়াগনষ্টিক সেন্টার রয়েছে এসব ডায়াগষ্টিক সেন্টারে অন্তত ৪০ জন ডাক্তার দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ নামীদামি হাসপাতাল থেকে গাংনী উপজেলায় রুগীর সেবা দিতে আসতেন কিন্তু করোনা ভাইরাসের অজুহাতে গাংনীতে রুগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছে। গাংনী উপজেলা বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি পারভেজ হোসেন জানান,তাহের ক্লিনিক,হুদা ক্লিনিক,মোল্লা ডায়াগনষ্টি সেন্টার,রাজা ক্লিনিক,রবিউল ইসলাম মেমোরিয়াল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার,এম এইচ (মিঠু) ডায়াগনষ্টিক সেন্টার,সূর্যের হাসি চিহৃত ক্লিনিক,মুক্তি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার,বামুন্দীর আল শেফা,আল ফালাহ,করবী,স্বাস্থ্য বাংলা ও মাহি ক্লিনিকে যেসব ডাক্তার বৃন্দ চিকিৎসা সেবা দিতেন করোনা ভাইরাসের কারনে বর্তমানে সেসব ডাক্তারা চিকিৎসা সেবা দিতে আসছেন না। তিনি আরো বলেন,জাতির সংকটময় সময়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ডাক্তার বৃন্দকে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছি। স্থানীয়রা জানান,ইতোপূর্বে ডাক্তার বৃন্দ তাদের নামের পাশে ডিগ্রী জাহির করতে প্রচার প্রচারনায় মাইকিং এর শহরে পরিনত হয়েছিলো গাংনী। এখন সেই মৌসুমি সুবিধাবাদী ডাক্তারই রয়েছে অন্তরালে। মেহেরপুরের সিভিল সার্জন মো: নাসির উদ্দীন বলেন,সংকট ময় মুহুর্তে নিয়মিত চেম্বার চালু রাখার জন্য বেসরকারী হাসপাতাল ক্লিনিক মালিক সমিতিকে বলা হয়েছে।