স্ত্রীকে হত্যার পর ডাকাতির নাটক সাজায় ঘাতক জুয়েল

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুরের গাংনীর পূর্বমালসাদহ গ্রামের গৃহবধু চম্পা খাতুনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে তার স্বামী জুয়েল রানা। রবিবার বিকালে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শাহিন রেজার আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ জবানবন্দী দিয়েছে ঘাতক জুয়েল রানা। গাংনী থানার ওসি জানান,গত মার্চ মাসে বেসরকারী একটি এনজিও থেকে জুয়েল রানা তার মা ও স্ত্রী চম্পা খাতুনের নামে ৯৮ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করে। ঋণের পুরো টাকাই জুয়েল তার শশুর আলমডাঙ্গা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের আব্দুর রশিদকে ধার দেন। ধার নেয়া টাকা ফেরত না দেয়ায় কিছুদিন যাবৎ চম্পা খাতুন ও তার পিতার সাথে জুয়েল রানার মতনৈক্য’র কারনে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। ঘটনার রাতেও (১৪ এপ্রিল) টাকা ফেরত দেয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিন্ডার একপর্যায় চম্পা খাতুনকে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর চম্পার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে নিজের মাথাও আঘাত করে জুয়েল রানা। হত্যার ঘটনা আড়াল করতেই ডাকাতির নাটক সাজায় সে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় চম্পা খাতুনের পিতা আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে জামাতা জুয়েল রানার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। উল্লেখ্য : হত্যাকান্ডের ঘটনার পর থেকে পারিবারিক কোলহের কারনে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করেছিলো পুলিশ। পুলিশ সুপারের নির্দেশে জুয়েল রানাকে শনিবার সন্ধ্যায় গাংনী হাসপাতাল বাজার এলাকা থেকে তাকে সার্বিক নির্দেশনায় হত্যার রহস্য বের করতে সক্ষম হই বলে জানায় গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!