গাংনীতে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ। আহত-১০

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুরের গাংনীতে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার সাহারবাটি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের গাংনী সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  স্থানীয়রা জানান,সাহারবাটি গ্রামের যুবক রাকিবুল ইসলাম টুটুলের নেতৃত্বে রক্তদান নামের একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তোলে। এ সংগঠনের কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে হাফিজুল ইসলাম,রবিউল ইসলাম সহ স্থানীয়দের সাথে মতনৈক্য’র সৃষ্টি হয়। মুলত ঐ মতনৈক্য ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  রক্ষদান সেচ্ছাসেবী সংগঠনের রাকিবুল ইসলাম টুটুল বলেন,রক্ত দিয়ে টাকা নেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে প্রতিপক্ষরা মিথ্যাচার শুরু করে। এ নিয়ে গত দুদিন উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। বিষয়টি সমাধানের জন্য শুক্রবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুকের সাহারবাটির কার্যালয়ে বসে সমাধান করার জন্য ডেকে নিয়ে যায় মেহেরপুর পল্লীবিদ্যু’ত সমিতির সাবেক এলাকা পরিচালক হাফিজুল ইসলাম। তার আহবানে সাড়া দিয়ে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে গেলে রক্ত দিয়ে টাকা নেওয়ার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হওয়ার এক পর্যায় হাফিজুল ইসলাম,সুজন,আতাউর রহমান টোকন,নুরু,জুয়েল সহ তার সহযোগীরা আতর্কিত হামলা চালিয়ে তার বাবাকে সহ ৫ জনকে আহত করে।  মেহেরপুর পল্লীবিদ্যু’ত সমিতির সাবেক এলাকা পরিচালক হাফিজুল ইসলাম জানান,রক্ত দিয়ে ৪ হাজার টাকা নিয়েছে রক্তদান ক্লাবের সদস্যরা এমন বিষয় নিয়ে ফেসবুক কে বা কারা মন্তব্য করে। এ মন্তব্য’র জেরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সূরহা করার জন্য রাকিবুল ইসলাম টুটুল সহ তার সহযোগীদের আহবান জানানো হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় টুটুলের পিতা শফিকুল ইসলাম সহযোগীরা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুকের কার্যালয়ের সামনে এসে বিরুপ মন্তব্য করতে থাকে এক পর্যায় উত্তেজনার সৃষ্টি হলে রাকিবুল ইসলাম টুটুলের সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। এসময় আতাউর রহমান টোকন ও আমার দোকান ভাংচুর করে। হামলায় তাদের ৫জন মারাত্বক আহত হয়। রাকিবুল ইসলাম টুটুলের সহযোগীদের উপর হামলা করা হয়নী উল্লেখ করে বলেন ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক আতাউর রহমান টোকন বলেন,অজ্ঞাত কারনে আমার দোকানে আতর্কিত হামলা করে ভাংচুর করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনও জানা যায়নী। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।  সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জানান,ঘটনার সময় তিনি তার কার্যালয়ে ছিলেন না। গাংনী থেকে সাহারবাটি যাওয়ার পথে সংঘর্ষের বিষয়ে খবর পায়। তিনি আরো বলেন,সকলে একই গ্রামের মানুষ পরস্পর সবাই সবারই আন্তীয়। তাই দ্রত সময়ের মধ্যে শান্তিপূর্ন সমাধানের চেষ্টা করা হবে। যাতে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা না ঘটে এজন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।  গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান,আধিপত্য নিয়ে সাহারবাটি বাজারে সংঘর্ষ চলছে। এমন খবর পেয়ে এস আই হাবিব (সিনিয়র) ও এস আই আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে উভয় পক্ষকে পুলিশ সরিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও কোন পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

১ কমেন্ট

মোঃ মামুনুর রশীদ মামুন ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০ - ৬:১৯ অপরাহ্ণ

বিষয়টি খুব দুঃখের, আমি গভীরভাবে দুঃখো প্রকাশ করছি , আর, এলাকার চেয়ারম্যান এবং গ্রামের মানুষের কাছে আমার বিনিতো আহবান বিষয়টি ভালো করে, বিবেচনা করে তার একটা সুনির্দিষ্ট, আপস করুন

উত্তর

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!