গাংনীতে দিনদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ১ মাসে আক্রান্ত ১৪

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুরের গাংনীতে দিনদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১ মাসে গাংনী উপজেলায় চিকিৎসক,প্রকৌশলী সহ ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে আতংক বিরাজ করলেও সামাজিক দুরত্বের বিষয়টি আমলেই নিচ্ছে না কেউ। প্রশাসনের ঠিকমত নজরদারি না থাকায় কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত্রি পর্যন্ত দোকাট খুলে চলছে ব্যবসা বানিজ্য।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাক্তার রিয়াজুল আলম জানান,গত ৬ মে গাংনী উপজেলায় প্রথম বারের মত করোনায় আক্রান্ত হয় ষোলটাকা গ্রামের মাহফুজুর রহমান ও রংমহলের পলাশ আহমেদ এরপর ২৩ মে গাড়াডোবের দুলাল হোসেন ও সাহারবাটির আল আমিন হোসেন,২৪ মে কাজিপুর বর্ডার পড়ার শাহিন ও নওদাপাড়ার মাহাবাত আলী,২৭ মে নওদাপাড়া গ্রামের জুলেখা খাতুন,২৯ মে সাহারবাটির রিয়াজুদ্দীন একই গ্রামের কাবিরুল ইসলাম,গোপলনগরের আশিক এলাহি ও হিজলবাড়িয়ার বানুয়ারা খাতুন,৬ জুন নওদাপাড়া গ্রামের সাইদ হোসেন ও ৭ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাক্তার রিয়াজুল আলম ও গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন করোনায় আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ষোলটাকা গ্রামের মাহফুজুর রহমান ও রংমহল গ্রামের পলাশ আহমেদ সুস্থ হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন,করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের সার্বিক খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। এছাড়া সাধারন মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে অনুরোধ করা হচ্ছে। তবুও কিছু মানুষ স্বাস্থ্য বিধি না মেনে অপ্রয়োজনে যত্রতত্র চলাচল করার কারনে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সংখ্যা থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাক্তার রিয়াজুল আলম করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসক,সিনিয়র স্টাফ নার্স ও কর্মচারীদের মধ্যে সংক্রামিত হয়েছে কি না তা নিয়ে চলছে বিচার বিশ্লেষন। তবে কোন কোন চিকৎসক,নার্স ও কর্মচারীদের হোম কোয়ারেন্টানে নেয়া হবে এটা নিশ্চিত করতে পারনেনি কেউ। একারনে হাসপাতালে কর্মরতদের পরিবারের মাঝেও করোনায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রত সময়ের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা না হলে করোনা সংক্রমন ছড়িয়ে পড়তে পারে। হাসপাতালে করোনায় ছড়িয়ে পড়লে স্বাস্থ্য সেবা বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়বে।
তবে স্থানীয়রা জানান,হাটবাজার ও দোকান গুলোতে কোন ভাবেই মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্য বিধি। কেবল মাত্র মসজিদ গুলোর মধ্যে সিমাবদ্ধ রয়েছে সামাজিক দুরত্ব কিংবা স্বাস্থ্য বিধি। মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডা: মো: নাসির উদ্দীন বলেন,সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে করোনায় সংক্রামিত হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনী বলেন,নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দিয়ে মোবাইল কোট পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া মাস্ক ব্যবহার করার জন্য জনসাধারনকে সচেতন করা হচ্ছে। তাছাড়া জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য বিভাগকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!