গাংনীর বাকি চেয়ারম্যান হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী রওশন কারাগারে

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাকি হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী রওশনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাসের আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ ২২ বছর পলাতক থাকার পর গেল গত ১৯ আগস্ট রাজশাহীর শাহ মখদুম থানার ভারালীপাড়া এলাকা থেকে রওশনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। সেখানে নাম পরিচয় পাল্টে উদয় মন্ডল নামে বসবাস করে আসছিলো সে। ১৯৯৯ সালের ১৩ এপ্রিল প্রকাশ্যে দিবালকে আওয়ামী লীগ নেতা বাকি চেয়াম্যোনকে গুলি করে হত্যা করে রওশন। সে মামলায় আদালত তাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। তারপর থেকে সে পলাতক ছিলো। এছাড়া জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সভাপতি কুষ্টিয়ার কাজী আরেফ,ভবানিপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন মাস্টার ও আলম হুজুর হত্যা মামলারও আসামী এই রওশন।
যেভাবে গ্রেফতার হয় মৃত্যুদন্ড পলাতক আসামী রওশন আলী :
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুনি রওশনকে গ্রেফতারে দীর্ঘদিন ধরে অভিযান চালিয়েও তার কোনো হদিস পাচ্ছিল না। পরে একটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। ওই মোবাইল নম্বরটি দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেন রওশন। নম্বরটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও এক সময় সচল করেন তিনি। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের এ তথ্যের সূত্র ধরেই তার বাসার নম্বর খুঁজে পায় র‌্যাব। সম্প্রতি অভিযানে রাজশাহীর শাহ মখদুম থানার ভারালীপাড়া এলাকা থেকে রওশনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। রওশন রাজশাহীতে আসল পরিচয় গোপন করে ‘উদয় মন্ডল নামে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করে সেখানে বসবাস করে।
গাংনীর কাজিপুর ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বাকী হত্যা মামলার বাদী সাজ্জাদুল আলম বলেন,দীর্ঘ ২২ বছর পর রওশন আলীকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করায় আমরা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে আদালতের রায় দ্রত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য ঃ ১৯৯৯ সালের ১৩ এপ্রিল সকালে কাজিপুর থেকে মোটরসাইকেল যোগে গাংনীতে যাবার পথে তেরাইল এলাকায় (বর্তমান তেরাইল জোড়পুকুরিয়া কলেজ) বাকি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই সাজ্জাদুল আলম বাদী হয়ে রওশন ও নুরু মেলেটারী সহ ১৬জনকে আসামী করে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১০ তাং ১৩/০৪/১৯৯৯ ইং। ধারা ৩২৬/৩০২। এ মামলায় ২০১৯ সালে মেহেরপুর আদালতের তৎকালিন বিচারক রওশন আলীকে মৃত্যুদন্ড ও অন্য আসামীদের বেকুসুর খালাস দিয়ে রায় ঘোষনা করে। হত্যাকান্ডের পর থেকে রওশন আলী পলাতক ছিলো।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!