গাংনীর বামন্দী জনতা ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম,(ফারুক আহমেদ) :

গাংনীতে জনতা ব্যাংক লিমিটেড বামন্দী শাখায় প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা-স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা প্রদানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যাংক হিসাব নং ধারী গ্রাহক ব্যাংকে উপস্থিত না থাকলেও নানা অযুহাতে সংশ্লিষ্ট মেম্বর ভূয়া টিপসহি দিয়ে উপকার ভোগীদের টাকা উত্তোলন করার সত্যতা মিলেছে।জনতা ব্যাংকের এক শ্রেণির অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশে ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বররা গ্রাহকদের অগোচরে ব্যাংক থেকে ভাতার টাকা উত্তোলন করে পকেটস্থ করছে।এমন অভিযোগ উঠেছে, গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউপির অন্তর্গত ১ নং ওয়ার্ড হিন্দা গ্রামের অসহায় দিনমজুর ইদ্রিস আলীর ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী সোহেল রানার নিকট থেকে। ব্যাংক থেকে ৮ হাজার ৪ শ’ টাকা উত্তোলন করে মেম্বর সোহেল রানাকে মাত্র ৪ হাজার ৪শ’ টাকা প্রদান করেছে। বাদবাকী আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও কয়েকজন বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা ভোগী জানান, কার্ড করার সময় সবার নিকট থেকে কিছু কিছু টাকা নিয়েছে। আমাদের ব্যাংকে যাওয়া লাগে না। কার্ড মেম্বরের কাছেই থাকে।মেম্বর আমাদের টাকা ব্যাংক থেকে তুলে বাড়ীতে দিয়ে যায়। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার হিন্দা ভিটাপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে সোহেল রানা(হিসাব নং -৭৮৫), মোজাফ্ফরের ছেলে আব্দুস সাত্তার(হিসাব নং-৭৮৪), আবুল কাশেমের ছেলে মুস্তাকুল(হিসাব নং-৭৮৩) ও সিরাজের বাক প্রতিবন্ধী শ্যালিকা মাবিয়া খাতুন(হিসাব নং- ৭৮২) দীর্ঘ ৫-৭ বছর ধরে প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য গ্রামের মেম্বর জাকির হোসেনের কাছে আবেদন-নিবেদন করে আসছিল।মেম্বর তাদের আবেদনে সাড়া না দিলে গত বছর জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জের নির্দেশে এদের প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড প্রদান করা হয়। সে মোতাবেক সম্প্রতি এদের হিসাব নং (২০১৮-১৯ অর্থবছর )একবছরের জন্য ৮ হাজার ৪ শ’টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।গ্রাহক সরাসরি ব্যাংকে উপস্থিত না ব্যাংক স্টাফদের ম্যানেজ করে মেম্বর ভূয়া টিপ সহি দিয়ে টাকা উত্তোলন করে। যেটা আদৌ ঠিক না। একজনের হিসাব নং থেকে অন্যজন স্বাক্ষর বা ভূয়া টিপ দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে পারেন না। এনিয়ে অভিযুক্ত মেম্বর জাকির হোসেন জানান, আমি কোন ভাতা ভোগীদের কার্ড করতে টাকা পয়সা গ্রহণ করিনি। এমনকি সোহেল রানার নিকট থেকেও কোন টাকা কর্তন করিনি। উত্তোলিত টাকার মধ্যে ৪ হাজার ৪ শ’ টাকা দিয়েছি। বাদবাকী টাকা আমার নিকট ঐ মুহুর্তে ছিল না বলে আমি পরে দেব বলেছিলাম। আমি কখনও গরীবের টাকা আত্মসাৎ করিনি। এব্যাপারে জনতা ব্যাংক বামন্দী শাখা ব্যবস্থাপক শামসুজ্জোহা বলেন, ব্যাংকের টাকা হিসাব নং ধারী ছাড়া অন্য কাউকে প্রদান করা আইন বিরোধী। কোন ক্রমেই দেয়া ঠিক হয়নি। তিনি যুক্তি দেখিয়ে বলেন, ভাতা প্রদানের দিন বিভিন্ন গ্রাম থেকে অসংখ্য গ্রাহক আসেন টাকা নিতে। আমাদের লোকবলের অভাবে ঠিকমতো টাকা বিতরণে হিমশিম খেতে হয়। অনেক সময় মেম্বররা গ্রাহক অসুস্থ, প্রতিবন্ধী ,ব্যাংকে আসতে পারেনি, আমার নিকটাত্মীয়, আমি বাড়ীতে পৌঁছে দেব এসব নানা কথা বলে টিপসহি দিয়ে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায়।আমরাও অনেক সময় নিরুপায় হয়ে যায়। তবে এই অনিয়মের দায় আমরা এড়াতে পারিনা। অভিযোগকারী সরাসরি উপজেলা সমাজ সেবা অফিসারের নিকট অভিযোগ করলে তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দাখিলের পরামর্শ দেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!